সৈয়দ শামছুল হুদা: মাওলানা মামুনুল হক আমাদের প্রিয় মামুন ভাই, যাকে অন্তর থেকে ভালবাসি, হৃদয়ের গভীর থেকে সম্মান করি। তাঁর সাহস, রাজনৈতিক মুনশিয়ানা, দুর্দমনীয় উচ্চারণ, বলিষ্ঠ বাচনভঙ্গি, সামনের কাতার থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার অসাধারণ পারফরম্যান্স, বংশীয় আভিজাত্য, পারিবারিক সম্ভ্রান্তপনা উনাকে অসম্ভব রকম উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।
দ্বীনি পরিবেশে যার বেড়ে ওঠা, আধুনিক জ্ঞান যার নখদর্পণে, ইলমুল হাদীসের উচ্চাসনে যিনি সমাসীন, বয়সের স্বল্পতা সত্বেও যিনি ভক্তদের কাছে ইতিমধ্যেই আল্লামা এবং শাইখুল হাদিস উপাধি প্রাপ্ত, তাকে নিয়ে হিংসা করা হবে না, তো কাকে নিয়ে করা হবে?
কওমি অঙ্গনের সীমানা পেরিয়ে যার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র, যার ব্যক্তিত্বের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েই চলেছে অনবরত, ইলমি এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় যিনি ইতিমধ্যেই অনেক বিজ্ঞ প্রবীণকেও ছাড়িয়ে গেছেন, তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হবে না এটা কি অন্তত এই বাংলাদেশে চিন্তা করা যায়?
আল্লামা মামুনুল হক দামাত বারকাতুহুম এদেশের লাখো তরুণ আলেমের অহংকার। তারপরও তিনি মানুষ, তারও ভুল হতে পারে, ভুল হওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু তাকে আলেমদেরই একটি অংশ এভাবে থামিয়ে দিতে চায় দেখে অবাক হওয়া ছাড়া আর কিই বা করার আছে?
মামুন ভাইকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তাকে থামিয়ে দিতে যে চেষ্টা করা হচ্ছে এটা বুঝতে দেরি হয়নি। মুখ ফস্কে এই ষড়যন্ত্রের কথা দু একজনের মুখ দিয়ে বের হয়ে গেলেও এর গভীরতা যে আরো অনেক বেশি তাও কিন্তু উপলব্ধি করি।
বাংলাদেশ সময়ে সময়ে দু একজন দুঃসাহসী আলেমের জন্ম হয় যাদের হুংকারে সকল বাতেল শক্তি আতঙ্কিত থাকে, ইসলামবিদ্বেষী কুলাঙ্গাররা ভীত-সন্ত্রস্ত থাকে, এমনই একজন উদীয়মান তরুন সাহসী আলেম মাওলানা মামুনুল হক। যাকে আল্লাহর জন্যই ভালোবাসি, উম্মাহ এবং দেশের স্বার্থেই ভালোবাসি।